জেলা প্রশাসকের স্ত্রী সম্পর্কে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগে এক যুবককে থানার মধ্যে বেধড়ক মারধর করলেন পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার জেলা প্রশাসক। নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে সপাটে অভিযুক্ত যুবকের গালে চড় কষালেন ভারতের ‘ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস’ (আইএএস) ওই কর্মকর্তা।
একবার নয়, একাধিকবার মারের চোটে কান চেপে ধরে ওই যুবক নিচে বসে পড়ে, নিজের ভুলের জন্য জেলা প্রশাসকের পা ধরে ক্ষমাও চেয়ে নেয় সে। কিন্তু তাতেও ক্ষান্ত হননি ওই সরকারি কর্মকর্তা। অভিযুক্তকে ফের দাঁড় করিয়ে চলল মারধর। শুধু জেলা প্রশাসকই নয়, তার সাথে হাত মিলিয়ে ওই অভিযুক্তকে চড় ও লাথি মারেন তাঁর স্ত্রীও। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রবিবার রাত থেকে মারধরের সেই ভিডিও সামনে আসতেই সোরগোল পড়ে যায়। শুরু হয় বিতর্ক। প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে একজন সরকারি কর্মকর্তা নিজের হাতে আইন তুলে নিতে পারেন?
ভিডিওটিতে দেখা যায়, ফালাকাটা থানার মধ্যে অভিযুক্ত ওই যুবককে এনে তাকে একাধিক বার সপাটে চড় মারছেন আলিপুরের জেলা প্রশাসক নিখিল নির্মল। আর পুরো ঘটনাটিই ঘটে ফালাকাটা থানার অফিস ইন-চার্জ সৌম্যজিত রায়ের সামনেই। সে সময় থানায় উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা মারধরে সেই ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি ওই সরকারি কর্মকর্তা বা স্ত্রীর। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে থানার আইসি নিজের আসন থেকে উঠে তাদের নিরস্ত্র করে অভিযুক্তকে অন্য ঘরে নিয়ে যান।
পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা প্রশাসকের স্ত্রী-কে নিয়ে তাঁরই ফেসবুক পেজে অশালীন মন্তব্য করে ওই যুবক। এরপরই অভিযুক্তকে ডেকে পাঠানো হয়। এরপরই পালা করে জেলা প্রশাসক স্বামী ও তার স্ত্রী দুই জনই বলপ্রয়োগ করলেন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। এমনকি ওই অভিযুক্তকে হুমকি দিয়ে জেলা প্রশাসককে এও বলতে শোনা যায় যে, ‘এই জেলায় আমার বিরুদ্ধে কোন কাজ তোমাকে করতে দেবো না। আমি তোমার বাড়িতে ঢুকে তোমাকে খতম করে দেবো।’ জেলা প্রশাসকের স্ত্রীকে বলতে শোনা যায় ‘কার আদেশে তুমি এমন কাজ করেছো?–বিডিপ্রতিদিন